গাজায় মানবিক বিপর্যয়: সংখ্যা ও বাস্তবতা — Jun 2025 নিয়ে হালনাগাদ

 

গাজা, ১৬ জুন ২০২৫:

গাজা, ১৬ জুন ২০২৫:
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে গাজায় আজ ভয়াবহভাবে মানবিক বিপর্যয় ঘনিয়ে উঠেছে। স্পষ্ট ও নিশ্চিত সূত্রগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

---

🧾 সর্বশেষ আনুমানিক পরিসংখ্যান

• গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ও OCHA-র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর–২০২৫ সালের ১১ জুন পর্যন্ত সবচেয়ে কমপক্ষে ৫৫,১০৪ জন প্যালেস্টিনি নিহত হয়েছেন এবং ১,২৭,৩৯৪ জন আহত হয়েছেন ।

• ২০২৫ সালের জোড়‑মে (৫–১১ জুন) সময়ে ৪৯৭ জন নিহত ও ২,০৫৩ জন আহত হয়েছেন মাত্র ।

---

🚨 আসতে থাকা খাদ্য ও সাহায্যে সংঘর্ষ প্রবণতা

• UN-এর তথ্য অনুযায়ী, গাজার নতুন এই “ইসরায়েল সমর্থিত খাদ্য বিতরণ” প্রক্রিয়ায় অন্তত ৩০০+ মানুষ নিহত ও ২,৬০০+ আহত হয়েছেন ।

• শুধু ১৪–১৫ জুনের নির্দিষ্ট দুই দিনেই, aid কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে ৮০–১১০ জনের মতো নিহত হয়েছেন newyorker.com+11reuters.com+11aljazeera.com+11।

---

🍽️ খিদে ও অপুষ্টির তীব্রতা

• আন্তর্জাতিক সংস্থা FAO ও WFP-এর তথ্য অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৫০ % মানুষ একেবারেই খাদ্য সংকটে ভুগছে, এবং প্রায় ৫০০,০০০ শিশু ঝুঁকিতে — বিশেষ করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা reuters.com।

• অক্টোবর ২০২৪–মে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় ৬৬,০০০ শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগেছে ।

---

🏥 স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত বিপর্যয়

• ১১ জুন পর্যন্ত ৪৬৩ জন aid কর্মী নিহত হয়েছেন, যেখানে ৩১৯ জন UN সদস্য ।

• স্বাস্থ্যসেবা স্থাপনার ৬৩ % (মাত্র ২১৩টি ফাংশনাল)ই বর্তমানে চালু আছে, ৩৭২টি আংশিক বা বন্ধ অবস্থায় ।

---

⚖️ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিচার

• জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান Volker Türk বলেন, গাজায় ‘horrifying, unconscionable suffering’ চলছে, অধিকার লঙ্ঘনের জন্য বিশ্ব নেতাদের চাপিয়ে দিতে হবে apnews.com+1reuters.com+1।

• UN-র তদন্ত কমিশন বলছে, ইসরায়েলের কিছু হামলার মধ্যে ‘extermination’ বা সুনিয়ন্ত্রিত হত্যার প্রমাণ পাওয়া যায় reuters.com।

---

🔚 আমাদের বার্তা

প্রতিদিন চারধাপে এসব পরিসংখ্যান ও প্রতিবেদন নতুন করে বিশ্ববাসীকে জাগ্রত করছে:

1. শতাব্দীর ভয়াবহ মানবিক সংকট — খাদ্য, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার অভাবে গাজা বসবাস অচল।

2. সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ব্যর্থতা — সহায়তা পৌঁছাচ্ছে না নিরাপদে, ন্যূনতম মানবিক নীতিও লঙ্ঘন হচ্ছে।

3. বিশ্বের চরম উদ্বেগ — UN, EU, FAO, WFP, Human Rights Council সবাই মিলে থামিয়ে দিতে চাপ দিচ্ছে।