![]() |
বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও প্রাদুর্ভাবের শীর্ষ রোগ |
বর্তমান বিশ্বে সাধারণ ধারণা মোতাবেক কোভিড-১৯ আর তার পরবর্তী মহামারির প্রভাব এখন সরাসরি অনুভূত হচ্ছে না। গ্লোবাল হেলথ ডেটা ও WHO-র সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে, হার্টের দুই বড় সমস্যা—ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ (IHD) ও স্ট্রোক—বছরে অসংখ্য প্রাণ নিয়েছে। তবে ব্যবধানহীনভাবে শীর্ষে রয়েছে টিবি, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, এবং ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগ।
১️⃣ বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও প্রাদুর্ভাবের শীর্ষ রোগ
WHO-র ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী:
-
ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ (IHD) ছিল মৃত্যুর মূল কারণ – প্রায় ৯ মিলিয়ন মৃত্যু (২০২১) ।
-
স্ট্রোক দ্বিতীয় প্রধান – মৃত্যুর একটি বড় অংশ নিয়েছিল ।
-
লোয়ার রেসপিরেটরি ইনফেকশন, COPD, ডায়াবেটিস ও লিভার সমস্যাও উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে ।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ মৃত্যু-জনিত কারণ–এর মধ্যে ঋণাত্মক: IHD, স্ট্রোক, প্রিম্যাচিউর বার্থ জটিলতা, ডায়াবেটিস, COPD, নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ইত্যাদি ।
২️⃣ টিবি (Tuberculosis): বিদায়ী ছায়া
-
WHO-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২3 সালে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ মিলিয়ন নতুন টিবি আক্রান্ত হয়েছে এবং একই বছরে ১.২৫ মিলিয়ন মানুষ টিবিতে মারা গেছে ।
-
ECDC-এর আশা– ইউরোপে শিশুদের মধ্যে টিবি-র প্রাদুর্ভাব ২০২৩ সালে ১০% বেড়েছে, যেখানে ৭,৫০০ শিশুর মধ্যে টিবি শনাক্ত the-sun.com।
-
WHO-এর মতে, টিবি এখন “world’s deadliest infectious disease” en.wikipedia.org।
৩️⃣ হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ): নীরব ঘাতক
-
বিশ্বব্যাপী ১.৩ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপের শিকার wired.com।
-
WHO–র পরিকল্পনা অনুযায়ী সফলভাবে নিরীক্ষা-উপশম করলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭৬ মিলিয়ন জীবন রক্ষা সম্ভব ।
এই তথ্য থেকে দেখা যায়, হাইপারটেনশন একটি নন-ইনফেকশাস, এখনও বিস্তৃতভাবে নিয়ন্ত্রণহীন, এবং গুরুতর স্বাস্থ্যজটিলতার কারণ।
৪️⃣ ডায়াবেটিস: নীরব ওহণ
-
বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের প্রাদুর্ভাব প্রায় ৮.১%; তার অন্তত ১০% এনি-ডায়াগনোজড pmc.ncbi.nlm.nih.gov।
-
WHO ও GBD–র ডেটা অনুযায়ী, ডায়াবেটিস বিশ্বে না শুধুমাত্র মৃত্যুর, বরং রোগজীবন হ্রাসের (DALYs) ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।
৫️⃣ ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো ভাইরাল রোগ
-
বাংলাদেশে 2023 সালের ডেঙ্গু: প্রায় ৩.২১ লক্ষ হাসপাতালে ভর্তি, ৭০ হাজার সুস্থ; ১,৭০৫ জন মারা গেছে—2023 এর সবচেয়ে নৃশংস এড্ডা en.wikipedia.org।
-
ম্যালেরিয়া: ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত, মোট ৬১৯,০০০ মৃত্যু ।
৬️⃣ নিপাহ, হেপাটাইটিস ও neglected diseases
-
নিপাহ ভাইরাস: বাংলাদেশে প্রতি বছর ডিসেম্বার–এপ্রিল মৌসুমে ঋতুবিদ্ধ্যমান; ২০২৪-তে মাত্র দুইটি কনফার্মড কেসে দুইটি মৃত্যু ।
-
হেপাটাইটিস B ও C: অন্যান্য রোগের থেকে নয়, কিন্তু বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১ মিলিয়ন ওর বেশি মৃত্যু করছে vox.com।
-
Neglected Tropical Diseases (NTDs): সীমান্তবর্তী, কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে এখনো বড় জনস্বাস্থ্য সংকট communitymedicine4asses.wordpress.com।
৭️⃣ বাংলাদেশে সমন্বিত রোগ-চিত্র
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য চিত্রে দুই ধরনের রোগ-ঝুঁকি একত্রে বিদ্যমান:
-
Non-communicable diseases (NCDs):
-
হাইপারটেনশন – প্রবীণদের মধ্যে ৩৫% bmchealthservres.biomedcentral.com।
-
ডায়াবেটিস – ৮.১% ।
-
হার্ট-স্ট্রোক, COPD, ক্যান্সার্, মেনিনজাইটিস ইত্যাদি ।
-
-
Communicable diseases:
-
TB – incidences প্রায় ২২১/লাখ (2023); মৃত্যুও লক্ষণীয় হারে ।
-
ডেঙ্গু – ৩ লাখ ভর্তি, ১৭০০+ মৃত্যু ।
-
ম্যালেরিয়া – সাধারণত কম প্রবল তবে গ্রীষ্মে বাড়তে পারে ।
-
তারপরেও, NCDs যেমন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস, ক্রমাগত এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে থাকায় শীর্ষ স্বাস্থ্যচ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
🔍 বিশ্লেষক পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
-
গ্লোবাল স্তরে IHD, স্ট্রোক, TB, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হলো মৃত্যুর বড় কারণ ।
-
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় NCDs ও Communicable diseases–এর “Double burden” স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত ।
-
মহামারির আগে ও পরেও NCDs নিয়ন্ত্রণে সঠিক জাগরণ ও রাষ্ট্র-এ্যাকশন প্রয়োজন।
-
TB, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া—বছরভিত্তিক প্রতিরোধমূলক উদ্যোগ জরুরি।
-
হেপাটাইটিস ও neglected diseases–এর জন্য লভ্যতা ও শিক্ষার অভাব আছে।
✅ শেষ কথা: কোন রোগ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে?
বিশ্বব্যাপী:
-
মৃত্যুর শীর্ষে: IHD ও স্ট্রোক।
-
কিন্তু শীর্ষ “একক সংক্রামক” রোগ হিসেবে টিবি চল্লিশের উপরে ছায়া ছেড়ে যাচ্ছে ।
-
নীরবভাবে বিস্তৃত হাইপারটেনশন (১.৩ বিলিয়ন মানুষ), যা অনেক সময় অজানা ও অচিকিৎসিত থেকেই বাড়ছে ।
বাংলাদেশে:
-
হাইপারটেনশন (৩৫%), ডায়াবেটিস (৮%), TB (২২১/লাখ), ডেঙ্গু–৩ লাখ+, মৃত্যু ১৭০০+– সবই বড় প্রভাবিত করছে।
তাই, বিশ্বস্তভাবে বলা যায়: চলমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে:
-
Non-communicable diseases – বিশেষ করে হাইপারটেনশন ও হার্ট-স্ট্রোক,
-
Tuberculosis – সংক্রামক মৃত্যুর ক্ষেত্রে শীর্ষে,
-
ডেঙ্গু – মৌসুমী হলেও সারা বছরের জন্য বড় সঙ্কট।
📌 পরামর্শ ও করণীয়
-
জনসচেতনতা বাড়াতে হবে: বাড়তি লবণ, শারীরিক কর্মহীনতা ও জীবনযাপনগত পরিবর্তন NCDs–এর মূল ঘাতক।
-
সামাজিক স্বাস্থ্য প্রোগ্রাম: স্ক্রিনিং শিবির, রক্তচাপ–চিনি পরীক্ষা ও প্রথমিক চিকিৎসা দরকার।
-
TB ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ কৌশল: BCG টিকার পাশাপাশি vector control, early diagnosis ও DOTS প্রোগ্রাম জনপ্রিয় করতে হবে।
-
সরকারি পদক্ষেপ: NCD ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি, গ্লোবাল TB এলিমিনেশন প্ল্যান, জল, স্যানিটেশন, ভ্যাকসিনেশন।
🧭 উপসংহার
বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলো হল:
-
ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ ও স্ট্রোক, হাইপারটেনশন, টিবি, ডায়াবেটিস ও ডেঙ্গু।
-
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সকল ধরনের রোগ নির্বাচনযোগ্যভাবে মোকাবেলা করা অতি প্রয়োজন।
-
নেতৃত্বে থাকতে হবে সরকার ও কমিউনিটি, যৌথভাবে নিতে হবে কর্মসূচীগুলো আগাম
0 Comments